ঢাকাসোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

‘প্রধান বিচারপতি কীভাবে বলেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০৮ মে ২০১৭ , ১১:০৬ পিএম


loading/img

আমি জানি না আমাদের প্রধান বিচারপতি কীভাবে বললেন, আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার সংসদে পঞ্চদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। একজন নেত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলায় ১৪০ দিন সময় চাওয়া হলেও দেয়া হয়। স্বাধীনতা আছে বলেই তো এই সময়টা দিতে পারছেন। না হলে তো দিতে পারতেন না।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের যদি অন্য কোনো মানসিকতা থাকতো, তাহলে নিশ্চয় দিতে পারতেন না। আমরা তো সেটা করিনি। ইচ্ছামতো সময় দিয়ে গেছেন, দিয়েই যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কথায় কথায় রিট। একই মামলায় যদি ৪০-৫০ বার রিট হয় আর যদি সেই রিট নিষ্পন্ন হয় তাহলে স্বাধীনতা নাই কীভাবে? এই একটা দৃষ্টান্তই যথেষ্ট। যারা এ সুযোগ নিচ্ছেন, তারাও একসঙ্গে তাল মিলান আইনের শাসন নেই।

তিনি বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া থেকে শুরু করে সব ব্যাপারে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট সচেষ্ট। এক একটা উৎসব আসে সে সময় সব কিছু তারা নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের নিরাপত্তা দেয়। আইনের শাসন আছে বলেই আজকে এটা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

সরকার প্রধান বলেন, যদি জঙ্গিদের ধরা হয় বা গুলিতে জঙ্গিরা মারা যায় তাহলে সেটাতো আর মানবাধিকার লঙ্ঘন বলা যায় না। একটা মানুষের জন্য হয়তো শত মানুষকে মৃত্যু বরণ করতে হতো অথবা পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতো।

তিনি বলেন, তাদের ধরলে বা তারা মরলেই আমাদের বিএনপি নেত্রীরও প্রাণ কাঁদে, আবার অনেকের প্রাণ কাঁদে। কেন সূত্রটা কী? যোগসূত্র কী?

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে ৭৫০টি পত্রিকা, ৩৪টি টিভি রয়েছে। দেখলাম অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে এই দেশে বাক স্বাধীনতা নেই। যারা রিপোর্টটা করেছে তাদেরকে বলবো এই টিভিতে বসে বসে দিনরাত আমাদের বিরুদ্ধে সমানে কথা বলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সংবাদপত্র লিখেই যাচ্ছে, হ্যাঁ, কেউ যদি হলুদ সাংবাদিকতা করে, মিথ্যা অসত্য তথ্য দেয়, কারও যদি চরিত্র হনন করে নিশ্চয় তারও অধিকার আছে যে সেখান থেকে নিজের ওপর মিথ্যা দোষারোপ থেকে রক্ষা পাবার। সেটা নেবার অধিকার সবারই আছে।

সমালোচকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বদনাম করা এটাই তাদের চরিত্র। মনে হচ্ছে বদনাম করতে পারলেই নাগরদোলার মতো ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সেই আশায় তারা থাকে। সেই আশায় গুড়ে বালি। এদেশে সেটা আর হবে না।

কে/ এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |